মধুকে বলা হয় প্রকৃতির ‘মিষ্টি সুধা’। মধু একটি খুব উপকারী খাদ্য, পথ্য ও ঔষধ।
কথিত আছে, প্রাচীন গ্রিসের খেলোয়াড়রা মধু খেয়ে মাঠে নামতেন। কারণ মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। নিয়মিত মধু খেলে রোগ-বালাই কম হয়। কারণ মধু মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমন অনেক গুণে গুণান্বিত মধু।
বর্তমানে আমরা বাজার থেকে যে মধু কিনে আনি তা যে কতটুকু খাঁটি তা বলা মুশকিল। মধুর মধ্যে সাধারণত ভেজাল হিসেবে পানি, চিনি ও আরো অনেক কিছু মেশানো হয়। চলুন আমরা জেনে খাঁটি মধু চেনার কিছু উপায়
: - ফ্রিজিং পরীক্ষা
মধুকে ফ্র্রিজের মধ্যে রেখে দিন। খাঁটি মধু জমবে না। ভেজাল মধু পুরাপুরি না জমলেও জমাট তলানী পড়বে।
-পিঁপড়া পরীক্ষা এক টুকরা কাগজের মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু নিন। তারপর যেখানে পিঁপড়া আছে সেখানে রেখে দিন। পিঁপড়া যদি মধুর ধারে কাছে না ঘেসে তবে তা খাঁটি মধু। আর পিঁপড়া যদি তা পছন্দ করে তবে মধুতে ভেজাল আছে।
-দ্রাব্যতা পরীক্ষা এক গ্লাস পানি নিয়ে এর মধ্যে এক টেবিল চামচ পরিমাণ মধু নিন। খুব ধীরে ধীরে গ্লাসটি শেক করুন। যদি মধু পানিতে পুরাপুরি দ্রবীভূত হয়ে যায় তবে তা ভেজাল মধু। আর মধু যদি পানিতে ছোট ছোট পিন্ডের আকারে থাকে তবে তা খাঁটি মধু।
-শোষণ পরীক্ষা কয়েক ফোঁটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিন ও পর্যবেক্ষণ করুন। খাঁটি মধু ব্লটিং পেপার কর্তৃক শোষিত হবে না। ভেজাল মধু ব্লটিং পেপারকে আর্দ্র করবে।
-কলংক পরীক্ষা একটুকরা সাদা কাপড়ের উপর সামান্য পরিমাণ মধু নিন এবং এবং কিছুক্ষণ পর কাপড়টি ধৌত করুন। ধোয়ার পর কাপড়টিতে যদি কোন দাগ থাকে তবে মধুতে ভেজাল আছে। আর যদি কোন দাগ না থাকে তবে মধু খাঁটি।
আমরা ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে সম্পূর্ণ অর্গানিক মধু বিক্রয় করে থাকি । পণ্যে ভেজাল প্রামান করতে পারলে পণ্য ফেরৎ ।
অরজিনাল সুন্দরবনের মধু ক্রয় করতে এই লিংকে চলে যান ।
www.sajhbela.com
https://www.facebook.com/pg/eSajhBela/shop
Comments
Post a Comment